সদ্যসমাপ্ত ৬৯তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মার্শে দু’ফিল্মসে গিয়েছিলেন তৌকীর আহমেদ এবং বিপাশা হায়াত। মার্শে দু’ফিল্মসের আওতায় তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘অজ্ঞাতনামা’ সিনেমাটি প্রিমিয়ার হয়েছে। কান উৎসবে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন আনন্দধারার সঙ্গে

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মধ্যে সবার আগে যে নামটি আসে তা হল কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর ব্যাপকতা, গুরুত্ব এবং গ্ল্যামার সবকিছু মিলিয়ে এর আকর্ষণ অনেক বেড়ে যায়। এর আগেও আমি আমার সিনেমা জয়যাত্রা, দারুচিনি দ্বীপ আর রূপকথার গল্প নিয়ে বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে গেছি। বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছি, বালি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমার সিনেমা পুরস্কার পেয়েছে। এই ফেস্টিভ্যাল আমার কাছে বাকি সবগুলো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে একেবারে ভিন্ন মনে হয়েছে। এটি সবগুলোর থেকে বড় এবং গ্লামারাস। এমন একটি প্লাটফর্মে গেলে অভিজ্ঞতা অর্জনেরও একটি ব্যাপার থাকে। ফিল্ম মেকার থেকে শুরু করে ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর, পরিচালক, অভিনয় শিল্পী, স্ক্রিপ্ট রাইটার, সাংবাদিক সবাই আসে এখানে। তারা মূলত নিজেদের সিনেমাকে প্রমোট করতে আসে। লক্ষাধিক লোক এখানে যে আসে তার আরেকটি কারণ নিজেদের অভিজ্ঞতা বাড়ানো। এখানে প্রতিযোগিতার যে বিভাগগুলো আছে সেখানে সুযোগ পাওয়া তো অবশ্যই অনেক সম্মানের বিষয়। ভালো পরিচালকদের ভালো সিনেমাই সেখানে যায়। মূল প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল, মার্শে দু’ফিল্মস, মার্কেটসহ কয়েকটি শাখা আছে এই ফেস্টিভ্যালে। ভিলেজ ইন্টারন্যাশনালে বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়ন থাকে এবং তারা তাদের দেশের সিনেমাকে প্রমোট করে। সেখানে দেশ ভিত্তিক প্যাভিলিয়নে সেই দেশের সিনেমা বা সিনেমা সংশ্লিষ্ট সাম্প্রতিক কাজ প্রদর্শনী করা হয়। আমার মনে হয় এখানে বাংলাদেশের একটি প্যাভিলিয়ন থাকলে আমাদের সবারই ভালো লাগত। সেখানে আমি শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তিউনিসিয়ার মতো ছোট ছোট দেশের প্যাভিলিয়ন দেখেছি। এমন একটি জায়গাতে বাংলাদেশের একটি প্যাভিলিয়ন থাকলে আমরা বাংলাদেশের সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে আরো পরিচিত করে তুলতে পারতাম অনেক দ্রুত। এমন একটি প্যাভিলিয়ন করতে আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা তথ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিতে পারে। এই ফেস্টিভ্যালের মার্কেট যেটা সেখানে ডিস্ট্রিবিউটররা আসেন
এবং তাদের বুথ থাকে।